নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিশাল পথযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন সৌগত রায়,ফিরহাদ হাকিম,অখিল গিরি,সুপ্রকাস গিরি,সিদ্ধার্থ মাইতি,এক আবু সোহেল,হাবিবুর রহমান,মামুদ হোসেন প্রমুখ। সৌগত রায় এদিন তার বক্তব্যে বলেন বাংলাতে এসে জে পি নাড্ডা মমতার বিধান সভায় মিটিং করলেন। তাতে কিছু বিক্ষুব্ধ জনতা ইট ছোড়াছুড়ি করে।সেই ঘটনাকে নিয়ে কেন্দ্র সরকার যা দেখল মনে হল ভারত চীনের যুধ্য লেগে গেছে।এদিন তিনি কৈলাশ বিজয় বর্গী কে মাল বলেও আক্রমণ করেন। কিছু আহত ব্যক্তিদের মিথ্যা শাহিদের প্ররোচনা দেখতে চাইছে কিন্তু বাংলা ভুলবে না। কেন্দ্র সরকার বাংলার নেতাদের ওপর ভরসা করে না। তাই কেন্দ্র থেকে আমিত শাহ বারবার আসছেন বাংলায়।কোয়েক দিন আগে দিলীপ ঘোষ একটি সভায় বলেছিলেন তৃণমূল নেতা কর্মীদের মারো।এদিন তিনি সংসদ দিলীপ ঘোষকে বলেন "ব্যাপার বেটা হলে তৃণমূলকে মারো"। অনেকেই শুভেন্দু অধিকারী কে বড়ো নেতা মনে করছেন। শুভেন্দু কোনো বড়ো নেতা নয়।দুবার ভোট হেরেছে তারপর জিতেছে।২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে নন্দীগ্রাম থেকে বিধানসভা নির্বাচনে নামিয়ে মন্ত্রী করলেন।তাকে সেচ ও পরিবহন দপ্তর দেওয়া হলো।আর কি চাই? আমার সাথে বৈঠকে জানায় অভিষেকের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই।আর এখন দিলীপ ঘোষের চাপেই বলছে ভাইপো হটাও।এইসব মিথ্যা কথা বলে বাংলার মানুষকে ভুল বোঝানো যাবে না। জনগন ইতিহাসের শেষ কথা বলে।তিনি অনেকটাই তিক্ততার সাথে বলেন গান্ধী হত্যাকারী দলে নাম লিখেছে শুভেন্দু অধিকারী।তাই তাকে ইঁদুর বিলাড়ের গল্পঃ বলে তুলনা করলেন শুভেন্দুকে।
সভা মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে ফিরাদ হাকিম প্রথমেই বলেন মেদিনীপুর পূণ্য ভূমি এখানে ক্ষুদিরাম, মতঙ্গিনি, জন্ম গ্রহণ করেছেন। আর সেই পূণ্য ভূমির ছেলে হয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।ভগবান যা করেন মঙ্গলের জন্য করেন। হোয়ত আরো বড় কোনো বিপদ থেকে বাঁচলো বাংলার তথা মেদিনীপুরের মানুষ। তিনি বলেন আমরা আগে সবাই কাংরেস করতাম তারপর তৃণমূল কংগ্রেস করা শুরু করলাম সিপিএমকে দমন করার জন্য।শুভেন্দু আমার স্নেহের তবে কেনো সে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা জানিনা।আজ কলকাতা থেকে আসার সময় কোলাঘাট থেকে দেখছি মুক্ত বাতাস বইছে।এখন আর কোনো রাজার প্রজা হয়ে থাকবো না ভাবছে সাধারণ মানুষ ।কেন্দ্র সরকারের তিনটি কৃষি আইন এর বিরোধিতা করে বলেন কেন্দ্র কৃষকদের বিক্রি করতে চাইছে।সারা ভারতে কৃষক আন্দোলন করছে আর শুভেন্দু সেই দলে নাম লিখিয়েছে।একদিন সেও এই কৃষক আইনের বিরোধিতা করেছিল ।
বিজেপি ওয়াসিং মেশিন।কোনো দাগ নিয়ে ওখানে গেলে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে যায়।শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে কোনো আন্দোলন করে ওঠেনি।সে শিশির বাবুর ছেলে বলে তাকে টিকিট দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে পরিবার তন্ত্রের কথা বলছে? বিজেপিতেও পরিবার তন্ত্র আছে। সিন্ধিয়া পরিবারকে ভাঙিয়ে নয়েগেছ কে?আমিত শাহের ছেলেকি বিরাট খেলোয়াড়?কৈলাসের ছেলে নেতা নয়? যখন দেখলাম ১৯ শে ডিসেম্বর আমিত শাহর পা ধরছে তখন মনে হচ্ছিল এই দৃশ্য দেখার থেকে মৃত্যু অনেক ভালো।সব শেষে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে বলেন গল্পে আছে "মানুষ বাঘ তৈরি করে আবার বাঘ থেকে ইঁদুর করে"।
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ প্রশাসন।বন্ধ করে রাখা হয়"শান্তি কুঞ্জের " সামনের রাস্তা। উক্ত সভায় অসুস্থতার কারণে উপস্থিত ছিলেন না কাঁথির সংসদ শিশির অধিকারী।
No comments:
Post a Comment