Breaking News

Translate

Thursday, April 9, 2020

লক ডাউনের জেরে ঘোর সংকটে পূর্ব মেদিনীপুরের পান চাষীরা।

নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: টানা লকডাউনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের পান চাষীরা।এই বন্ধের বাজারে অনান্য খাদ্য কৃষিজাত দ্রব্য বাজারে বিক্রির নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও গুল্ম জাতীয় শস্য পানের ক্ষেত্রে তা হচ্ছেনা। সমস্যায় যেমন পান চাষিরা তেমনি পান প্রিয় মানুষরাও।

লকডাউন প্রায় দু সপ্তাহের বেশি হয়ে গেল,আগামী ৩০ শে এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই লক ডাউন। তাই আতঙ্কের প্রহর গুনছে পূর্ব মেদিনীপুরের  কয়েক হাজার পানচাষি।মূলত পানের যোগানের প্রায় ৯০% এই জেলাতে হয়।এই পান রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ভিন রাজ্য ও ভিন দেশে ও রপ্তানি করা হয়।লকডাউনের ফলে জেলার সমস্ত পান মন্ডি বন্ধ। চাষীরা তাদের পান কোথাও পাঠাতে পারছেনা।তাই  গাছেই নষ্ট হচ্ছে পাতা।অনেক চাষি আবার গাছ বাঁচাতে পাতা তুলে ফেলে দিচ্ছে।অনেকে  আবার পাতা তুলে ঘরের মধ্যে সাজিয়ে বোতলে ঠান্ডা জল রেখে কিছুটা সতেজ রাখার চেষ্টা করছে, কারন লকডাউন উঠলে যদি ঐ গুলে বাজারে পাঠানো যায়,তাহলে হয়ত লোকসান কিছুটা কমবে। সবথেকে বড় সমস্যা বেশির ভাগ চাষি ই গাছে পান পাতা রেখে দেয় মার্চ ও এপ্রিল মাস বাজারে বিক্রি করার জন্য।কারন এই সময় ই পানের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়।এই দুই মাসের পান বিক্রির টাকা দিয়ে তার সংসারে উন্নতির অনেক স্বপ্ন দেখে। তার ফলেই মাথায় হাত চাষিদের। কি হবে?  কি করে সংসার চলবে এই চিন্তাতেই তাদের কপালে ভাঁজ।জেলার বেশির ভাগ চাষিই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে পান চাষ করে।পান বিক্রি করতে পারছে না লোন মেটাবে কি করে?  লকডাউন যত দীর্ঘ হবে চিন্তা আরও ওদের গ্রাস করবে।অনান্য জিনিস কেনার টাকা মেটানোর EMI তিন মাস বাড়ালেও লোন মেটানোর টাকা মার্চ মাসের শেষে কিংবা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই দিতে হবে।যেখানে সংসার চালানোর পয়সা নেই সেখানে লোন মেটানো হবে কি করে?
তাই করোনা আতঙ্কের সাথে সাথে লকডাউন আতঙ্ক ওদের আরও বেশি বিপদের মুখে ফেলছে।

No comments:

Post a Comment

আপনি রিপোর্টার

আপনাদের এলাকার যে কোন খবর পাঠান এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে
9609 29 1919

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

9609291919