Breaking News

Translate

Thursday, October 21, 2021

উপ নির্বাচনের আগে ফের বড়োসড়ো ভাঙন বিজেপিতে।

 নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক ::  একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সপ্তাহে সপ্তাহে দিল্লি থেকে প্রধান মন্ত্রী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি।" ইসবার দো সো পার " স্লোগানের নূন্যতম মর্যাদাও জোটেনি। শেষমেষ তৃণমূলের জয়লাভ হয়েছে। এই বিশাল জয়লাভ করার পর থেকেই বর্তমান শাসক দলে আসতে চাইছে অনেকেই। সেকানে বাদ পড়েনি বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিরোধী শিবির। শাসক শিবিরে যোগদানের লম্বা লাইন পড়েছে। আর খড়দহ উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই দলবদলের এই হিড়িক আরও বেড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


ইতিমধ্যেই খড়দহ বিধানসভার অন্তর্গত পঞ্চায়েত এবং পুরসভা এলাকায় হাজারের বেশি বিজেপি এবং সিপিআইএমের কর্মী সমর্থক যোগদান করেছেন তৃণমূলে । চলতি সপ্তাহেও শতাধিক পরিবার বিরোধী শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করবে বলে খবর। দলবদলের এই হিড়িক রীতিমতো বিরোধী দলগুলির প্রার্থীদের প্রচারের মনোবল কেড়ে নিচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।


বিধানসভা নির্বাচনের  ফল ঘোষণার আগেই করোনায় মৃত্যু হয় খড়দহর জয়ী প্রার্থী কাজল সিনহার। পরবর্তীতে ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁকেই খড়দহ কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রয়াত কাজল সিনহা জয়লাভ করলেও বিলকান্দা ২ পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ১১০০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। মূলত, মতুয়া অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় এই এলাকায় তৃণমূল কম ভোট পেয়েছিল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। চালতি মাসের ৩০ তারিখ খড়দহে উপনির্বাচন, তার আগে গত ৫ অক্টোবর এই এলাকার প্রায় ৫০০ জন কর্মী সমর্থক বিজেপি এবং সিপিআইএম ছেড়ে যোগদান করে তৃণমূলে। যার কারণে ভোট ময়দানে বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে।


রবিবার খড়দহের পাতুলিয়া বাজারে তৃণমূল কংগ্রেসের  একটি নির্বাচনী প্রচার সভায় প্রায় ৩০০ জন কর্মী বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এরপরই বিলকান্দা ২ পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ৫০টি পরিবার বিজেপি ছেড়ে যোগদান করে তৃণমূলে। ফের সোমবার খড়দহ বিধানসভার রুইয়া এলাকার ২৪টি পরিবার পদ্মশিবির ছেড়ে যোগদান করে ঘাসফুল শিবিরে। লাগাতার চলছে দলবদল। তৃণমূল সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে আরও শতাধিক বিজেপি  এবং সিপিএমের নেতাকর্মীর শাসক দলে যোগদানে করতে পারে। জানা গিয়েছে, যোগদান করতে চেয়ে দু'শোর বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বর কাছে। কিন্তু তাঁদের যোগদান এখনও আলোচনা সাপেক্ষ বলে খবর। নির্বাচন ঘোষণার আগেও বিধানসভার রহড়া অরুণাচল এলাকায় প্রায় ১৪০ জন এবং বন্দিপুর এলাকায় ৭০ জনের বেশি বিরোধী শিবিরের কর্মী সমর্থক যোগদান করেছিল তৃণমূলে।


এ বিষয়ে দমদম-বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, 'বাংলার মাটিতে বিজেপির বহিরাগত সংস্কৃতি কেউ মানতে পারছেন না। সেই কারণেই বিজেপি ছেড়ে দলে দলে কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নে শামিল হতে চাইছেন। খড়দহে একই কারণে বিরোধী দল ছেড়ে বহু মানুষ তৃণমূলে যোগদান করেছেন। যোগদান করে ইতিমধ্যেই তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রচারেও নেমে পড়েছেন।' তবেকি এবার  বাংলা থেকে পর পর বিজেপির আসনও কমতে চলেছে?




No comments:

Post a Comment

আপনি রিপোর্টার

আপনাদের এলাকার যে কোন খবর পাঠান এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে
9609 29 1919

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

9609291919