Breaking News

Translate

Friday, February 5, 2021

চাকরির অনিশ্চয়তার আতঙ্কে ভুগছে NSQF এর প্রশিক্ষক ও ল্যাব এসিস্ট্যান্টরা।

 নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: আমাদের রাজ্যে বর্তমান বেকারত্বের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।কর্ম সংস্থান পরপর কমে যাচ্ছে । আবার অন্যদিকে কর্মরত কন্ট্রাকচুয়াল ভোকেশনাল প্রশিক্ষকদের  চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে । মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন কোন কর্মরত কর্মীর কোন ভাবে যাতে কাজ না হারায় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এমন আশ্বাস ও তিনি দিয়েছিলেন।


কিন্তু আমাদের রাজ্যে প্রায় ৭৫০ টি সরকারিসরকার পসিত  স্কুলে কারিগরি শিক্ষা বিষয়ক কিছু পাঠ্য পড়ানো হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে । অথচ এইসব  বিষয়ের প্রশিক্ষক ও ল্যাব এসিস্ট্যান্ট দের  চাকরির টানাপোড়েন চলছে বর্তমান দিনে। যার একটাই কারণ এই কাজে সকলেই নিযুক্ত হয়েছেন থার্ড পার্টি এজেন্সির মাধ্যমে । মাঝে কোম্পানি থাকার জন্য বিভিন্ন রকম ভোগান্তিতে ভুগছে এই সমস্ত প্রশিক্ষকগণ প্রতিমাসের বদলে কখনও কখনও ৩ থেকে ৬ মাস পরে বেতন পাচ্ছে । বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই সমস্ত প্রশিক্ষকগণ ।অথচ স্কুলের অন্যান্য কাজের সাথে লিপ্ত থাকতে হয় সকলকে।

চলতি বছরেই কয়েকদিন আগে আবার নতুন করে একটি টেন্ডার বেরিয়েছে। ওখানে উল্লেখিত রয়েছে কেবলমাত্র একটি করে ভোকেশনাল ট্রেনার থাকবে একটি স্কুলে একটি বিষয়ের উপরে অন্যদিকে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কোন পথ নেই যা আগে ছিল। দেখা যাচ্ছে এই ক্ষেত্রে অনেক ভোকেশনাল ট্রেনার বাদ পড়তে পারে এবং সেইসঙ্গে বাদ পড়তে পারে সমস্ত ল্যাব এসিস্ট্যান্টরা।
বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করা এই অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের কর্মজীবন শেষ হতে চলেছে। তাই আতঙ্কিত এই সমস্ত ভোকেশনাল প্রশিক্ষকরা।
কেন্দ্র সরকারের NSQF এর গাইডলাইন মেনে কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে  স্কুলগুলিতে  পাঠ্য গুলি পড়ানো হয় ছাত্র-ছাত্রীদের । যার প্রধান লক্ষ্য এইসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে কর্মমুখী হওয়া অথবা উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। এই সমস্ত বিষয়ের শিক্ষাদানের প্রশিক্ষিকারা বহু পরিশ্রম করে ছাত্র ছাত্রীদের গড়ে তোলে। আর তারাই এখন চাকরি হারানোর আতঙ্কে ভুগছেন। বিগত কয়েক মাস ধরে করোনা অবহের মধ্যে অনলাইন ক্লাস করে ছাত্র-ছাত্রীদের যথা সাধ্য চেষ্টা করেছেন বিষয়গুলির সম্বন্ধে জানানোর। এমনকি দপ্তরের তরফ থেকেও বাহবা জানানো হয়েছে সকল ট্রেনারদের ।


আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার ছাত্রছাত্রীরা দু'বছর হয়ে গেল তারা বই পায়নি অর্থাৎ দপ্তর তেমন কোনো ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি । সে দিক থেকে পিছিয়ে থাকেনি এই সমস্ত অভিজ্ঞ  প্রশিক্ষিকারা।নানা ভাবে ব্যবস্থা করেছেন ওই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের যথার্থ শিক্ষাদানের জন্যে। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এখনও নোটস, অডিও, ভিডিও  প্রেরণ করে যাচ্ছে। তবে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে না দিয়ে কেন কারিগরি দপ্তর এটিকে ধরে রেখেছে ?
এর ফলে ব্যক্তিগত কিছু সংস্থা তাদের আখের গোছাচ্ছে। কিন্তু যাদের জন্যে এই পঠন-পাঠন দিনের-পর-দিন তারাই তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ব্যক্তিগত সংস্থা অর্থাৎ ট্রেনিং প্রোভাইডারদের উপর কিছু দায়িত্ব রয়েছে। যা হলো গেস্ট লেকচার, ইন্ডাস্ট্রি ভিজিট ইত্যাদি
বহু বিদ্যালয় রয়েছে যেখানে বিগত দুই বছর ধরে এই স্কিম চালু থাকা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত ল্যাব সেটআপ হয়নি । এমনকি দপ্তরে বারে বারে জানানোর পরও কোনো সুরাহা মেলেনি। মিলেছে কেবল ব্যক্তিগত সংস্থার কো অর্ডিনেটর এর ধমক। সেই সঙ্গে চাকরি ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি।বর্তমান দিনে এই প্রকল্পের উন্নতির জন্যে সরাসরি স্কুল শিক্ষা দপ্তর এই বিষয়ে দেখাশুনা করুক।কারণ কারিগরি দপ্তর খুব যত্ন সহকারে তিলে তিলে এই প্রকল্প শেষ করতে চলেছে। এই প্রকল্পের বিভিন্ন বিষয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তর,কারিগরি দপ্তর,মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চ মাধ্যমিক কাউন্সিলে চিঠি পাঠানোর পরেও কোনো সদুত্তর মেলেনি।


এরফলে NSQF এর প্রশিক্ষক এর একাংশ আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন।ইতিমধ্যে পঞ্চাশ অধিক প্রশিক্ষক কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।আগামী দিনে NSQF এর প্রায় সমস্ত প্রশিক্ষকগন ও ল্যাব এসিস্ট্যান্টরা আইনের দ্বারস্থ হতে পারে এবং বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে পারে।


তবে এই পরিবারের একাংশের আবেদন রাজ্যের মাননীয়া মুক্ষমন্ত্রীর কাছে - আপনি এই বিষয়টি নিয়ে দেখুন ঠিক যেভাবে অন্যান্য দপ্তরের ( আইটি পার্সোনাল, আই সি টি ) কর্মচারীদের কর্মজীবন ৬০ বছর পর্যন্ত  সুনিশ্চিত করেছেন তেমনি এই স্কিমে কর্মরতদের কর্মজীবন সুনিশ্চিত করার সাথে সাথে আগামী প্রজন্মের ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করুন।অন্যথায় আগমী প্রজন্ম অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারে।

No comments:

Post a Comment

আপনি রিপোর্টার

আপনাদের এলাকার যে কোন খবর পাঠান এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে
9609 29 1919

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

9609291919