নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: তৃণমূলের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে শেষমেশ বিজেপিতে যোগ দিলেন শুভেন্দু অধিকারী । মেদিনীপুর কলেজ মাঠে অমিত শাহ ,কৈলাশ বিজয়বর্গীয় দিলীপ ঘোষ মুকুল রায় ও অন্যান্য নেতৃত্ব দের উপস্থিতিতে বিজেপির পতাকা তুলে নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক জীবনের তৃতীয় ইনিংস শুরু করলেন জননেতা শুভেন্দু অধিকারী । প্রথমেই তিনি ছেড়েছিলেন হাত কংগ্রেসের সঙ্গ। তারপর যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। রাজনৈতিক জীবনের আবার পরিবর্তন আনতে যোগ দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টি তে ।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন তৃণমূলের কিছু পুরনো কথা । তিনি খোলা চিঠিতে জানিয়েছেন বিগত দশ বছরে কোনো পরিবর্তন হয়নি রাজ্যে । নিচুতলার নেতারা টিল তিল করে দল গড়েছিলেন কিন্তু তার ফল অন্যরা পেয়েছিল ।
যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি সেই দলে তাই আজ পচন ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের মোদীজি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাই তাই হচ্ছে। আগামী দিনেও হবে তাই উনার হাতকে শক্ত করতে আজ রাজ্যের মানুষকে ভাবতে হবে আগামী দিনে কোন সরকার গড়বে ? কি হবে আগামী দিন ? জনসাধারণের এমন বার্তা রাখেন । আমি কথা দিচ্ছি আমি মানুষের জন্য কাজ করবো । আমি যখন যে দলে থাকি সেই দলে নিষ্ঠার সাথে কাজ করি। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সহ আরো বেশ কয়েকজন বিধায়ক এবং সাংসদ বিজেপিতে যোগদান করেন । তিনি অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে যে ১০০ টির বেশি মামলা করা হয়েছে সেই তথ্য তুলে ধরে আক্রমণ করেন রাজ্য সরকারকে ।
তিনি বেশ কয়েক দিন আগে এক অরাজনৈতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন আমি যতক্ষণ না কিছু বলছি আমার মুখ থেকে কিছু না শুনছেন ততক্ষণ আপনারা কোন কথায় কান দেবেন না । কিন্তু আজ তা স্পষ্ট করে দিলেন যে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টিতে এসেছেন। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নতুন করে উদ্বুদ্ধ হলেন শুভেন্দু অধিকারী তিনি বলেন ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টার মধ্যে মধ্যে আমিও দলের হয়ে কাজ করব বুথে বুথে কাজ করব । কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার একই থাকবে এরই ডাক দিয়ে তিনি উনার বক্তব্য শেষ করেন । তিনি "তোলাবাজ ভাইপো" মন্তব্য করে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে।
অন্যদিকে মুকুল রায় শুভেন্দু অধিকারী কে কাছে পেয়ে আপ্লুত হন । তিনি বলেন আগে আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি আজ আবার কাছে পেয়েছি আমরা আবার একসাথে লড়াই করব অপশাসন হাটাবো রাজ্য থেকে।
এখন শুধু দেখার পালা আগামী দিনে কি হয় । নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সাধারণ মানুষের চোখ । সত্যি কি জননেতার হাত ধরে এবার বাংলায় পরিবর্তন আসতে চলেছে? শুভেন্দুর হাত ধরে কি সত্যি বাংলায় পরিবর্তন হবে নাকি বুমেরাং হতে পারে ?
No comments:
Post a Comment