Breaking News

Translate

Wednesday, October 23, 2019

প্রতিদিন অফিস থেকে ফিরে হালকা গরম জলে স্নান করার উপকারিতা।

নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: প্রতিদিন এক বালতি গরম জলে স্নান করলে ভিতর এবং বাইরে থেকে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে একাধিক মারণ রোগ ধারে কাছেই ঘেঁষতে পারে না। বিশেষত দেহের ইতিউতি জমতে থাকা মেদ ঝরিয়ে ফেলতে গরম জলে স্নানের কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। জার্নাল অব অ্যাপলাইড ফিজিওলজি পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণাপত্র অনুসারে গরম জলে স্নান করা মাত্র শরীরের অন্দরে বিশেষ কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে, যার প্রভাবে নানাবিধ উপকার মেলে। যেমন ধরুন…

১. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে: একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত গরম জলে স্নান করা শুরু করলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনও সম্ভবনাই থাকে না।
২. দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমে: নানা কারণে শরীরের অন্দরে প্রদাহ বা ইনফ্লেমেশনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মারাত্মক ক্ষতি হয়। সেই সঙ্গে ক্যান্সার এবং নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই তো কোনও কারণেই যাতে ইনফ্লেমেশনের মাত্রা বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর ঠিক এই কারণেই নিয়মিত গরম জলে স্নান করা উচিত। আসলে উষ্ণ গরম জলে স্নান করা শুরু করলে দেহের অন্দরে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি কেমিকালের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে প্রদাহের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।



৩. জ্বর-সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে: ওয়েদার চেঞ্জের কারণে কী শরীরের অবস্থা বেহাল? সেই সঙ্গে লেজুড় হয়েছে সর্দি-কাশি? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই গরম জলে স্নান করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেই পাবেন।
৪. ওজন কমে চোখে পরার মতো: একেবারে ঠিক শুনেছেন বন্ধু! অতিরিক্তি ওজন কমিয়ে ফেলতে গরম জলে স্নান করা একান্ত প্রয়োজন। স্টিভ ফ্লকনার নামক এক ব্রিটিশ গবেষকের করা এক স্টাডিতে দেখা গেছে গরম জলে স্নান করলে প্রতি ঘন্টায় কম-বেশি ১৪০ ক্যালরি বার্ন হয়। এত পরিমাণ ক্যালরি প্রতিদিন বার্ন হতে শুরু করলে অতিরিক্ত ওজন কমতে যে সময় লাগে না, তা তো বলাই বাহুল্য!
৫. পেশীর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে গরম জলে স্নান করা মাত্র সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। ফলে কাঁধ, ঘাড় এবং পিঠের ব্যথা তো কমেই, সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি পেশির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের সার্বিক কর্মক্ষমতা বাড়ে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, এমনটাও দেখা গেছে যে সারা দিন অফিস করার পর বাড়ি ফিরে যদি গরম জলে স্নান করা যায়, তাহলে স্ট্রেস লেভেল তো কমেই, সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হয়। ফলে মন-মেজাজ একদম চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
৬. ইনসমনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমে: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে রাতে শুতে যাওয়ার আগে গরম জলে স্নান করলে শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়ে অনেকটা কমে যায়, যে কারণে মেলাটোনিন নামক স্লিপিং হরমোনের ক্ষরণ এতটাই বেড়ে যায় যে অনিদ্রার মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
৭. হার্টের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়: একেবারে ঠিক শুনেছেন! হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতির সঙ্গে গরম জলে স্নান করার একটা যোগ রয়েছে। আসলে নিয়মিত গরম জলে স্নান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সম্ভবনা কমে। ফলে হার্টের কোনও ক্ষতি হওয়ার আর আশঙ্কা থাকে না। প্রসঙ্গত, গরম জলে স্নান করা মাত্র সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার কারণেও কিন্তু হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু, হার্টকে যদি দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে হয়, তাহলে শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা গরম জলে স্নান করতে ভুলবেন না যেন!
৮. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়: বেশ কিছু পরীক্ষায় দেখা গেছে এক বালতি গরম জলে পরিমাণ মতো নারকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল দিয়ে যদি স্নান করা য়ায়, তাহলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসে। ফলে ত্বক একদিকে যেমন মসৃণ হয়ে ওঠে, তেমনি স্কিনের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, ত্বকের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি দূর হওয়ার কারণে বলিরেখার প্রকোপ কমতেও সময় লাগে না। ফলে স্কিনের বয়স কমে চোখে পরার মতো।




No comments:

Post a Comment

আপনি রিপোর্টার

আপনাদের এলাকার যে কোন খবর পাঠান এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে
9609 29 1919

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

9609291919