নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের NSQF শিক্ষক শিক্ষিকা ও ল্যাব কর্মীদের উপর চলছে অমানবিক ব্যবহার। কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে মানসিক অত্যাচার করেই চলেছে সরকার পোষিত ঠিকাদার কোম্পানিগুলি। প্রথমে বিভিন্ন দপ্তরে ডেপুটেশন দিয়ে কোনো কাজ না হওয়ায় রাস্তায় নেমেছে NSQF শিক্ষক ও ল্যাব কর্মীরা।আন্দোলনে নেমে পুলিশি অত্যাচারের শিকার হয়েছেন।
অন্যদিকে কাছে নেই কোনো সরকারি নথি তবুও রাজ্যের কারিগরী মন্ত্রী সব জায়গায় সাংবাদিকদের সামনে বলছেন যে" কেন্দ্রীয় সরকার আর মাধ্যমিক উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে NSQF স্কিম চালাতে চাইছে না"। এই বিষয়ের সাপেক্ষে তিনি কোন সরকারি নোটিশ দেখাতে পারছেন না আন্দোলন কারীদের।মন্ত্রীর কাছে শিক্ষকদের প্রশ্ন যদি কেন্দ্র প্রজেক্ট বন্ধ করতে চায় তবে তা স্পষ্ট করুন অভিভাবকদের কাছে।কারণ স্কুলে ওই বিষয় আগামীদিনে ছাত্র ছাত্রীরা পড়া সোনা করতে পারবে না। রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর একান্ত প্রচেষ্টা কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে যুবক যুবতীদের কর্মমুখী করা।তাহলে সেদিকে কি এবার ভাটা পড়ছে? প্রায় ২০০০ জন NSQF শিক্ষক ও ল্যাব কর্মীর মধ্যে কেনো ২৫০ জন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট ছাঁটাই হলো? তবে কি এর থেকে প্রমাণিত যে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা বলছেন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ত্রিপুরা, কেরালা,হরিয়ানা সহ বিভিন্ন রাজ্যে এবং সারা ভারতে এই স্কিম সমগ্র শিক্ষার অধীনে পরিচালিত হয়। এটি একটি স্থায়ী স্কিম ও বিভিন্ন রাজ্যে NSQF এর শিক্ষক, শিক্ষিকাদের নিয়মিত বেতন প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্র-রাজ্য যৌথ ভাবে ৬০%-৪০% খরচ বহন করে। তবে পশ্চিমবঙ্গে দেখা যাচ্ছে সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র? এমন কি কর্মী ছাঁটাই এর মত হটকারী সিধ্যান্ত। আন্দোলন কারীদের দাবী কেন এই অত্যাচার-শোষণ? তবে কি রাজ্য সরকারের কারিগরী দপ্তর NSQF স্কিম চালাতে গিয়ে ভীষণ ভাবেই দুর্নীতিতে যুক্ত? কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া টাকা আধিকারিকরা লুটে পুটে খেয়েছেন? অথচ বিগত বছর গুলিতে বিদ্যালয়ের ছেলে মেয়েরা NSQF এর পাঠ্য বই পাচ্ছে না, ল্যাবের কোন কিছু ভালো পরিকাঠামো তৈরীই করেননি বহু বিদ্যালয়ে। NSQF এর শিক্ষক শিক্ষিকারা ও ল্যাব কর্মীরা
দীর্ঘদিন সময় মত তাঁদের সঠিক বেতন পাচ্ছেন না। এর পরও কি বর্তমান কারিগরী মন্ত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস সুপরিচিত হুমায়ূন কবীর তাঁদের দুর্নীতি গুলি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন? এই বিষয়ে শিক্ষিত মহলের একাংশের দাবী এমন মিথ্যাচার ওনার কাছে কাম্য নয়। উনি NSQF শিক্ষক পরিবারের আন্দোলন কে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছেন বলেও দাবী করছেন সংগঠনের সদস্যগন। NSQF শিক্ষক সংগঠন ওনার এই অমূলক চক্রান্ত কে ধিক্কার জানতেও পিছু পা হয় নি।সংগঠনের বক্তব্য" রাজ্যের স্কুলে NSQF শিক্ষা দুর্নীতি মুক্ত হোক, এজেন্সি মুক্ত হোক, ছাত্র ছাত্রীরা সঠিক শিক্ষা পরিকাঠামো পাক, আমাদের চাকুরী ৬০ বছর নিশ্চিতকরণ ও সমস্ত NSQF শিক্ষক শিক্ষিকা ল্যাব কর্মীর চাকুরীর স্থায়িকরণ করা হোক"।
No comments:
Post a Comment