Breaking News

Translate

Tuesday, January 14, 2020

এস এস কে এম এর প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সফল অস্ত্রপ্রচারে জোড়া লাগলো দুটি কাটা হাতের।

নিউজ ফোর সাইড ডেস্ক :: ঊনচল্লিশের বছরের যুবক কাজ করে ছাপাখানায়।প্রতি দিনের মত এদিনও মেসিনে  কাগজ দেয় কাটার জন্য।আচমকা কাটার ছুরি এসে পড়ে তাঁর দু’হাতের কব্জির উপরে। হাতের দিকে তাকিয়ে বেলঘরিয়ার বাসিন্দা শঙ্কর সাহা দেখেন, ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে। চোখের সামনে পড়ে রয়েছে কব্জির জোড় থেকে কাটা অংশ।

সরস্বতী প্রেসে দীর্ঘদিন কাজ করছেন শঙ্কর। গত মঙ্গলবার তিনি কলকাতা হাইকোর্টের গেজেট ছাপানোর কাজ করছিলেন। ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। হাসপাতালে শঙ্কর বলেন, ‘‘ওই সময়ে মনের অবস্থা কী ছিল, বোঝাতে পারব না। সামনে কাটা হাত দুটো পড়ে রয়েছে। রক্তে চারপাশ ভেসে যাচ্ছে। হাত জোড়া না লাগলে তো কিছু করার নেই, এই ভেবে মনকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম।’’ শঙ্করের আর্তনাদ শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন ছাপাখানার অন্য কর্মীরা। হাতের অবস্থা দেখে প্রথমে তাঁরাও ঘাবড়ে যান। বিজন দাস নামে এক কর্মী সোমবার জানান, খানিক ধাতস্থ হওয়ার পরে শঙ্করকে প্রথমে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কাটা অঙ্গ প্লাস্টিকে মুড়ে নিয়ে গেলে যে জোড়া লাগানো যায়, তা বিভিন্ন সময়ে খবরের মাধ্যমে জেনেছিলেন তাঁরা। তাই ওই যুবকের কাটা দুই হাত প্লাস্টিকে মুড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কামারহাটি ইএসআই থেকে আর জি কর হয়ে শঙ্করকে পাঠানো হয় এসএসকেএমে। সেখানে পৌঁছনো মাত্র তাঁকে ট্রমা কেয়ারে ভর্তি করানো হয়। দ্রুত চলে আসেন প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা।
প্লাস্টিক সার্জন, অ্যানাস্থেটিস্ট মিলিয়ে ১৩ সদস্যের একটি চিকিৎসক-দল গড়া হয়। চিকিৎসক সৌভিক অধিকারীর নেতৃত্বে যুবকের ডান হাতের অস্ত্রোপচারে ছিলেন সৌম্য গায়েন, দেবরাজ সাহা, মেহরাজ শেখ ও জয়া লিমা। বাঁ হাতের অস্ত্রোপচারে চিকিৎসক কল্যাণ দাসের নেতৃত্বে ছিলেন সৌরভ শেঠিয়া, শ্বেতা, অজয় পাঠক এবং অনির্বাণ বসু। অস্ত্রোপচারে অ্যানাস্থেটিস্টের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক শর্বরী সোয়াইকার নেতৃত্বে সেই দায়িত্ব পালন করেন নীলোৎপল সরকার এবং সায়ন্তন বসু।এ দিন প্লাস্টিক সার্জারির বিভাগীয় প্রধান গৌতম গুহ জানান, রোগীর একটি হাত দুর্ঘটনায় কাটা পড়েছে বা আঙুল বাদ গিয়েছে, সেই অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু একসঙ্গে দু’টি হাত কেটে যাওয়ার বিষয়টি সচরাচর শোনা যায় না। এই ধরনের অস্ত্রোপচার অত্যন্ত জটিল। কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, দু’টি হাতের জন্য আলাদা দল অস্ত্রপ্রচার করা সম্ভব নয়।ওই জায়গায় ধমনী, শিরা,স্নায়ু নিখুঁত ভাবেজোড়া না লাগলে অসুবিধার সম্মুখীন হতে পারে।তবে প্লাস্টিকের মধ্যে ওই কাটা হাত দুটি অনার জন্য অনেক টাই সুবিধা হয়।বর্তমান অস্ত্রপ্রচার এর পর গৌতম বাবু তার আঙ্গুল নাড়াচাড়া করতে পারছেন।

No comments:

Post a Comment

আপনি রিপোর্টার

আপনাদের এলাকার যে কোন খবর পাঠান এই হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে
9609 29 1919

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন

9609291919